নরসিংদীর মাধবদীতে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজের পর অন্তর মিয়া (১৩) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নিয়ে ওই কিশোরচালককে খুন করে ইজিবাইক ছিনতাই করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, আল আমিন, বকুল মিয়া, অহিদুল ইসলাম, ছগির মিয়া ও সাজ্জাদ।
গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত বুধবার রাতে মাধবদীর বালাপুর এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাঁচ ব্যক্তি চার শত টাকায় অন্তরের ইজিবাইক ভাড়া করেন। পথে খিলগাঁও গ্রামে একটি নির্জন স্থানে তাঁরা অন্তরকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এর পর গামছা দিয়ে তাকে বেঁধে ডোবায় ফেলে দিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যান তাঁরা। পরদিন বিকেলে অন্তরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সোমবার ভোর পর্যন্ত নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্তরকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত লোহার রড, গামছা এবং ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই করতেন। তা ছাড়া সাজ্জাদ ও বকুলের বিরুদ্ধে নরসিংদীর শিবপুর ও মাধবদী থানাসহ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চুরি, ছিনতাই, খুনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে বালাপুরগামী সড়কের পাশের ডোবায় অন্তরের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মাধবদী থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত অন্তর মাধবদীর খিলগাঁও গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে।