১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে বগুড়া থেকে প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তবে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন না।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত বগুড়া থেকে এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ঢাকায় গিয়ে পৌঁছেছেন। তাঁরা নিজেদের সুবিধামতো স্থানে অবস্থান করছেন।
নেতাদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শিবগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম, গাবতলী থানা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন, বগুড়া শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু এবং কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোশারফ হোসেন এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাঁরা ছাড়াও বগুড়ার বেশ কিছু নেতার বাসভবন রয়েছে ঢাকায়, তাঁরা রাজশাহীর মহাসমাবেশ শেষে সরাসরি ঢাকায় গিয়েছেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হেলাল জানান, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এবার কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। কোনো শোডাউন দিয়ে বা গাড়ির বহর নিয়ে যাওয়া হবে না। বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন যানবাহনে এবং বিভিন্ন রুটে তাঁরা ঢাকায় ঢুকছেন। তিনি বলেন, আমি সোমবারে ঢাকায় পৌঁছেছি। জেলার ১২টি উপজেলা, ১২টি পৌরসভা, ১০৮টি ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার জনসভায় যোগ দেবেন বলে তিনি দাবি করেন।
দলীয় আরেকটি সূত্র বলেছে, ঢাকায় বিএনপির যে সমাবেশ, সেটি অন্যান্য স্থানের মতোই বিভাগীয় সমাবেশ। কিন্তু রাজধানীতে হওয়ার কারণে এবং রাজশাহীতে যাওয়ার পথে হয়রানি, থাকা-খাওয়ার সমস্যার কারণে অনেকেই ঢাকায় যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ঢাকার সমাবেশটি দলের জন্য গুরুত্ব বহন করলেও দলীয়ভাবে ঢাকায় যেতে তেমন নির্দেশনা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ঢাকায় রাত যাপনের সমস্যা বেশি। এ ছাড়া রাজশাহী যাওয়ার জন্য কর্মীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়া হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় নিজের টাকা খরচ করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ কারণে অনেকেই যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, শুধু নেতারাই নন, স্বেচ্ছায় অনেক কর্মীও ঢাকায় যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বগুড়া থেকে ১০ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।