হোম > ছাপা সংস্করণ

অনেক প্রার্থী জানেন না নির্বাচনী আচরণবিধি

এনামুল হক, ফুলপুর

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো নির্বাচনী প্রচার চালানোর নিয়ম নেই। কিন্তু ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা এ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার। অনেক প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি জানেনও না বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি। এ জন্য প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষে এখন চলছে আপিল ও নিষ্পত্তির কাজ। প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আর ১৪ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা তফসিলে উল্লেখ রয়েছে।

রূপসী ইউপির এক সদস্য প্রার্থী বলেন, ‘প্রতীক না পেলে নির্বাচনী প্রচারে নামা যায় না, সেটা আমার জানা ছিল না। মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি এবং বাছাইয়ে বাদ পড়িনি। তাই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। পোস্টার প্রস্তুত করে রেখেছি। প্রতীক পেলেই ছাপানোর কাজ শেষ করা হবে।’

বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করে দলবল নিয়ে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, মিছিল চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই প্রচার। নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বওলা ইউপির এক চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ‘সব প্রার্থীই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীকের আশায় বসে থাকলে নির্বাচনী মাঠে অন্যদের চেয়ে আমি পিছিয়ে পড়ব। তাই তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেতে নেমে পড়েছি প্রচারে।’

বালিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এক ইউপি সদস্য প্রার্থী বলেন, ‘আমার সব প্রতিদ্বন্দ্বী আটঘাট বেঁধে নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন। তাই তাঁদের দেখাদেখি আমিও দল বেঁধে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে ফুলপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা পর অনেকেই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দ না পেলে যে নির্বাচনী প্রচার চালানো যায় না, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়-সেটি অনেক প্রার্থীই জানেন না, বা জানলেও তা মানেন না। এখনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। চেয়ারম্যান-সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলে তাঁরা নিয়ম-নীতি মেনে কতটুকু চলবেন-সেটিই ভাবনার বিষয়।’

নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রচারে নেমে পড়ার ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা আশুরা আখতার খাতুন বলেন, ‘সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে ১৩ জানুয়ারি। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহণ ৩১ জানুয়ারি। উপজেলার ১০ টি ইউপির ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। সব ইউপিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গ, ফুলপুরে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ২৭৭ জন। আর নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ ৫৮৪ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন একজন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ