হোম > ছাপা সংস্করণ

বাংলাদেশের এখন ভুটানকে হারাতে হবে, বলছেন কাবরেরা

নাজিম আল শমষের, বেঙ্গালুরু থেকে 

সংবাদ সম্মেলনে হাভিয়ের কাবরেরাকে বেশ ধীর ও শান্ত দেখাল। এর আগে মাঠে নিজের গোলরক্ষক কোচকে মাঠে ঢুকতে না দেওয়ায় সাফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে খানিকটা কথা-কাটাকাটি করেই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন তিনি। দুর্দান্ত জয়ের পরও সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর মুখে দিয়েছেন সব প্রশ্নের উত্তর। 

মুখে বলেননি কিছু, কিন্তু তার চেহারাতেই যেন সব স্পষ্ট। মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলের অসাধারণ এক জয়ে বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচের কাঁধ থেকে যেন সব বোঝা নামিয়ে দিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা।

২০০৩ সালের পর গতকাল অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে এখন হাতছানি ২০০৯ সালের পর সেমিফাইনালে খেলারও। ভারতে আসার আগে সেমিফাইনাল নিয়েই নিজেদের আশার কথা বারবার বলেছেন কাবরেরা। বললেন গতকালও। তবে বলার ধরনে বড় একটা পার্থক্য এখানেই যে হারাতে বসা আত্মবিশ্বাসটা মালদ্বীপকে হারিয়ে ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ।

হামজা মোহাম্মদের গোলে ১৮ মিনিটে মালদ্বীপের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ৩-১ গোলের জয়। সব কৃতিত্ব নিজেদের শিষ্যদের দিলেন কাবরেরা। কোচ বললেন, ‘পরিস্থিতি মোটেও পক্ষে ছিল না, বিশেষ করে এক গোল হজমের পর। কিন্তু ছেলেরা সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরেছে।

সব কৃতিত্ব তাদের। ওরা যেটা করতে চেয়েছে, যেটাতে বিশ্বাস করেছে, সেটা প্রমাণ করেছে। ম্যাচের সময় ছেলেরা ড্রেসিংরুমে অনেক গোল করতে চেয়েছে। এখন তাদের সামনে সেমিফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ। আমাদের শুধু আরেকটা ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’

তীব্র চাপে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াইটা কঠিন হয়ে পড়েছিল হামজার গোলে। সেই গোলের পরও দলের জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলে জানালেন কাবরেরা।

বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমরা জানতাম, জিততে হবে। এখন সামনে ভুটান ম্যাচে এই জয়ের প্রভাবটা থাকবে। এটা ভবিষ্যতে আমাদের সাহস জোগাবে। আমাদের এখন শুধু ভুটানকে হারাতে হবে।’

মালদ্বীপের বিপক্ষে এই জয় নতুন করে লড়াইয়ের মন্ত্র বাংলাদেশের। এই জয়ে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে গর্ব করা উচিত বলে মনে করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, ‘আমরা লড়াকু জাতি, আমরা লড়াই করতে ভালোবাসি। এটাই এখন আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। প্রথম ম্যাচ খেলার পর আমাদের বিশ্বাসটা হারিয়ে গিয়েছিল, আমরা এখন সেটা ফিরে পাব। খেলোয়াড় হিসেবে এটাই আমাদের চাওয়া। ২০ বছর পর আমরা সাফে মালদ্বীপকে হারিয়েছি। সত্যি বলতে কি, দেশের মানুষদের আমাদের নিয়ে গর্ব করা উচিত।’

একই প্রতিক্রিয়া জয়ের আরেক নায়ক রাকিব হোসেনেরও। তিনি বলছেন, ‘প্রথম ম্যাচ হেরে আমরা চাপে ছিলাম। এ ম্যাচে আমাদের জয় দরকার ছিল।

আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলাম যে আমরা জিততে পারব। আমরা সাফে টিকে থাকতে চাই। আজ (গতকাল) একটু আতঙ্ক ছিল সবার মধ্যে। সবাই চুপচাপ ছিল, কিন্তু জয়ের পর সবাই খুব আনন্দ করেছে।’

এই জয়ের আনন্দেই ডুবে যেতে চান না অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তিনি এখন পুরো মনোযোগ দিতে চান পরশু ভুটান ম্যাচের দিকে, ‘আরেকটা ম্যাচ আছে। আমরা জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। হাতে দুই দিন আছে। পরের ম্যাচের প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দেব।’

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ পরশু, কোরবানির ঈদের আগের দিন। এখন ভুটান-বাধা পেরিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করতে পারলে এবার জামালদের ঈদের আনন্দ হবে দ্বিগুণ। নিজেদের রুগ্ণ ফুটবলও পাবে নতুন দিনের সন্ধান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ