সকালের শুরুতে দেখা মিলছে সবুজ প্রকৃতির মাঝে হেমন্তের শিশির বিন্দুর। ওই শিশির বিন্দুই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে এখনো জেঁকে বসেনি শীত। শীত নিবারণের জন্য উপজেলার ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বস্ত্র বিতানগুলোতে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের ফুটপাতে যেন গরম কাপড়ের মেলা বসেছে। এসব দোকানে শীতের গরম পোশাক কিনতে জড়ো হচ্ছেন ক্রেতারা। বড় বিপণিবিতানগুলোতেও ভিড় করছেন নানা বয়সী ক্রেতা।
উপজেলা সদরের ফুটপাতের ব্যবসায়ী রহমান বলেন, এবার আগাম শীত আসায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিনই গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরো শীত পড়লে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।
শীতের গরম কাপড় কিনতে আসা দীঘিপাড়া গ্রামের শ্যামলী বলেন, বাড়িতে ছোট দুই বাচ্চার জন্য হালকা শীতের কিছু গরম কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তবে দাম একটু বেশি মনে হয়েছে তাঁর। তাই সামর্থ্যের মধ্যে কেনার চেষ্টা করছেন তিনি।
উপজেলার বড় বিপণিবিতানগুলোতে দেখা গেছে, সেখানে গরম কাপড় কিনতে অনেকে ভিড় করছেন। এসব দোকানের মধ্যে রয়েছে রুহুল ফ্যাশন, সানমুন টেইলর্স, হাবিব গার্মেন্টস, থানার গেটে আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট।
হাবিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান বলেন, শীত আসায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। এখন হালকা শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্লেজার, জ্যাকেট, মেয়েদের লং জ্যাকেট বিক্রি শুরু হবে। তবে আমন ধান উঠতে শুরু করায় অনেকে মা-বাবা, মেয়ে-জামাইয়ের জন্য আগাম কেনাকাটা শুরু করেছেন।
স্কুলছাত্র ফরহাদ বলেন, হালকা শীতেই কেনাকাটা করে নিচ্ছে সে। পুরো শীত পড়লে বাজারে দামও বাড়বে। তাই দাম কম থাকতেই কিনতে এসেছে।
লিটন বস্ত্রালয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে শীতের কম্বল, বিভিন্ন ব্রান্ডের শাল কিনতে ভিড় করছেন। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার সরগরম এখন। শীতের পোশাকের বিভিন্ন কালেকশন নিয়ে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। জ্যাকেট, ব্লেজার, সোয়েটার, হুডিতে যেমন রয়েছে ফ্যাশন বৈচিত্র্য; তেমনি রয়েছে বাহারি রং।