হোম > ছাপা সংস্করণ

খুলনার তিন উপজেলা নির্বাচনে ৯ প্রার্থীর পাঁচজনই আসামি

কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনার ফুলতলা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলায় নির্বাচন ২১ মে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন। নির্বাচন কমিশনে তাঁদের দাখিল  করা হলফনামা পর্যালোচনা করে  দেখা গেছে, ৫ জনের বিরুদ্ধে  রয়েছে ১৭টি মামলা। সব কটিই বিচারাধীন। দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে রাজনৈতিক মামলা।

ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেনের মেসার্স হোসেন ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং মেসার্স হোসেন ফিশ ফার্ম নামের দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, কৃষি খাতে বার্ষিক আয় ৯২ হাজার টাকা, দোকান ও বাড়িভাড়া ৬০ হাজার টাকা। ব্যবহারের জন্য একটি নিশান ও একটি টয়োটা প্রাইভেট কার রয়েছে। তবে তার দাম উল্লেখ করা হয়নি। কমার্স ব্যাংক খুলনা শাখায় ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ৫১৯ টাকা ঋণ আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের এ সভাপতির বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।

সদ্য বহিষ্কৃত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দুটি মামলা রয়েছে। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগদ টাকা ৭ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। স্ত্রীর ১৫ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। বাসায় আছে ৪৫ হাজার টাকার একটি ফ্রিজ ও ২ হাজার টাকার ২টি ফ্যান, ১৫ হাজার টাকার একটি খাট এবং ১২ হাজার টাকা দামের একটি সোফা।

দিঘলিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন মল্লিকের নামে মামলা রয়েছে ৫টি। আরেক প্রার্থী জাকির হোসেনের পূবালী ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১৯ লাখ টাকা। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত গাজী মো. এনামুল হাচানের নামে তিনটি মামলা আছে। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে তেরখাদার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সরফদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। বাড়ি ও দোকানভাড়া থেকে তাঁর আয় ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬০। নগদ টাকা ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪৬। ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা দামের একটি টয়োটা মাইক্রোবাস, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ৩৭ ভরি স্বর্ণ, একটি পিস্তল ও একটি বন্দুক রয়েছে। খুলনা নগরীর টুটপাড়া এলাকায় ৬ তলা ভবন রয়েছে, যার দাম ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখায় ঋণ আছে ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৫ টাকা।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ বলেন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়েছে। ফুলতলা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেনের হলফনামায় প্রাথমিকভাবে ত্রুটি থাকায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হলেও পরে তিনি আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ