তারাগঞ্জে জমির দখল নিতে এক বর্গাচাষির বাগানের সব কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে করে অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী আদম আলী দাবি করেছেন। এ ঘটনায় তিনি তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে গত বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রহিমাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছগুলো কাটা। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে গাছের খণ্ডিত অংশ। জমির চারদিকে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের নতুন গাছের চারা।
আদম আলী বলেন, ‘বুধবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের গোলাম মোস্তফা, রোস্তম আলী ও আনারুল ইসলাম হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুরো ১৬ শতক জমির কলাগাছ কেটে ফেলেন। এরপর সেখানে অন্য গাছের চারা রোপণ করে দেন। আশপাশের লোকজন আমাকে খবর দিলে বাগানে এসে দেখি সব গাছ কেটে ফেলেছে। এলোপাতাড়িভাবে সেগুলো মাটিতে পড়ে আছে। গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে তাঁরা উল্টো আমাকে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদম আলী এক বছর আগে স্থানীয় আকতারুল ইসলাম ও আয়েশা সিদ্দিকা দম্পতির কাছ থেকে জমিটি বর্গা নেন। চার মাস আগে এই দম্পতির বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। আর আকতারুল জমির অংশবিশেষ মোস্তফার কাছে বিক্রি করে দেন। তিনি জমির দখল নিতে কলাগাছ কেটে দেন।
মোস্তফা বলেন, ‘আমি ১৬ শতক জমির মধ্যে নয় শতক আকতারুল ইসলামের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। বারবার বলার পরও আদম আলী জমি খালি করে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমার কিনে নেওয়া অংশ দখল করেছি। সেখানে অন্য গাছ লাগিয়ে দিয়েছি। এতে দোষের কী?’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’