খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ আবারও ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানির চাপে শনিবার দুপুরে বাঁধটি ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। পরে দুই ঘণ্টার স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী পানি আটকাতে সক্ষম হলেও যেকোনো মুহূর্তে আবারও ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই ভোরে ভাটার টানে ভেঙে যায় এ বাঁধ। পরদিন দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হয়। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই স্থানে তেমন কোনো কাজ না করায় পুনরায় বাঁধটি ভেঙে যায়।
দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতির কারণে এ রিংবাঁধ আবারও ভেঙেছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ বেদকাশীর চরামুখা এলাকায় ওয়াপদার ৫০ মিটার বাঁধ গতকাল শনিবার দুপুরের জোয়ারে ভেঙে যায়। এতে ৪ গ্রামের মানুষ প্লাবিত হয়। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষকে লোনাপানির হাত থেকে মুক্ত করার জন্য পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে জোয়ারের চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই ঘণ্টার স্বেচ্ছাশ্রমে পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, বাঁধ পুনরায় মাটি দিয়ে নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে। গত কয়েক
দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাঁধটি দুর্বল হয়ে পড়ে।