ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের কাছে হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে এর পেছনে আওয়ামী লীগের নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতাকেই দায়ী করছেন অনেকে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির দুর্গ এখন বিএনপি-জামায়াতের দুর্গে পরিণত হয়েছে বলে দাবি ভোটারদের।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলুর সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন পরাজিত হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজনের কাছে। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতের বহিষ্কৃত কর্মী (স্বতন্ত্র প্রার্থী) আনোয়ারুল ইসলাম। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হাবিবা আক্তার (সীমা)।
চেয়ারম্যান পদে রুহুল আমিনের পরাজয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ নিয়ে কথা হয় মর্নেয়ার চরের ভোটার শহিদুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রুহুল আমিনের পরাজয় খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তিনি যে মাত্র ৮৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন, এটাই আশ্চর্যের বিষয়। বিনা ভোটে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত উপজেলাবাসীর উন্নয়নে যেসব কাজ করেছেন, তা দৃশ্যমান নয়। তিনি আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত।’ জাতীয় পার্টির নেতার এত কম ভোট পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা তো আর জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেননি। তাঁরা বিএনপির মোকাররম হোসেন সুজনের হয়ে কাজ করেছেন। এ জন্য সুজন এত ভোট পেয়েছেন; তা না হলে এখানে অন্য কেউ চেয়ারম্যান হতেন।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখানে ভোট পেয়েছে মাত্র চার শর একটু বেশি। তার মানে, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এবং বিএনপির লোকজন সবাই বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।’