শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়াকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ব্রাজিলের নাচ দেখে দুই ধরনের মন্তব্যই পাওয়া গেছে। কেউ মুগ্ধ ব্রাজিলের নাচ দেখে। কেউ আবার সমালোচনা করেছেন নেইমারদের, কেন প্রতি গোলের পর এভাবে নাচতে হবে? কে কী বলল, তাতে বয়েই গেছে নেইমারদের। শৈল্পিক ফুটবলে তাঁরা মুগ্ধ করবেন, গোল দেবেন আর নাচবেন—ব্রাজিলিয়ানদের কাছে ফুটবল মানে তো এটাই।
ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, সামনে তাঁরা আরও নাচতে চান, ‘ব্রাজিলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে যারা জানে না তাদের জন্য আমি দুঃখিত। আমি ৬১ বছর বয়সী এবং এই খেলোয়াড়েরা প্রায় আমার নাতির মতো। তবে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। যদি আমাকে নাচতে হয় নাচব। যদিও খুব সূক্ষ্মভাবে করব এবং খেলোয়াড়দের বলব আমাকে লুকিয়ে রাখতে। তবে এড়িয়ে যাওয়ার এটা কোনো পন্থা নয়।’
কিন্তু সুন্দর ফুটবলই এখন শেষ কথা নয়। শৈল্পিক ফুটবলের সঙ্গে ম্যাচের ফলটাও নিজেদের পক্ষে থাকা চাই। সাফল্য না পেলে শিল্পের তাৎপর্য যে খুব বেশি থাকে না। ব্রাজিলের নান্দনিক ফুটবলের দৌড় থামিয়ে দিতে আজ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে তাদের সামনে বড় বাধা হয়ে আসছে ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়াটদের কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার মতো তুলনামূলক দুর্বল ভাবার সুযোগ নেই। মদরিচরা গতবার ফাইনাল খেলেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলা ‘ব্রাজিলের স্বতন্ত্র’ ধরন শেষ আটেও পাওয়া যাবে কি না, সেটি নিয়ে তিতে বলেছেন, ‘এটিই হচ্ছে ব্রাজিল ফুটবলের এবং যে প্রজন্মের উত্থান হয়েছে তার পরিচয়। আমাদের খেলোয়াড়দের এসবই বৈশিষ্ট্য। তবে চাপ সামলে এমন খেলতে সাহসের প্রয়োজন।’
চোটে পড়া আলেক্স সান্দ্রোকে যে ব্রাজিল আজ পাচ্ছে না, সেটি গতকাল নিশ্চিত করেছেন তিতে। দলে চোটসমস্যা থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জেতার পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাসী ব্রাজিল।