গাজীপুরের শ্রীপুরে চকলেট কিনতে গিয়ে অটোরিকশার চাপায় মো. আমান উল্লাহ (৬) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের শিশুপল্লি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোরিকশাচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি নিজেও আহত হওয়ায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত আমান উল্লাহ উপজেলার টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. সাদেক হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিশুপল্লি প্লাসের পাশে একটি দোকানে চকলেট কিনতে যাচ্ছিল আমান উল্লাহ। সে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুদিক থেকে দুটি অটোরিকশা ক্রসিং করছিল। এর একটি অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে আমান। এরপর আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
নিহতের বাবা মো. সাদেক হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে এসে ছেলের লাশ পেয়েছি। সকালে কাজে বের হওয়ার আগে ছেলেকে চকলেট কেনার জন্য টাকা দিয়ে আসছি। ঘাতক অটোরিকশাচালক আমার শিশুসন্তানটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল। আমি তাঁর কঠিন বিচার চাই।’
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন বলেন, অটোরিকশা ও এর চালককে পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন অর রশিদ বলেন, হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অটোরিকশাচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ও তাঁর অটোরিকশাটি আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এসআই মামুন বলেন, চালক জাহাঙ্গীরও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি।