হোম > ছাপা সংস্করণ

বিএনপির চাঁনকে নিয়ে গুঞ্জন, তৎপর আওয়ামী লীগ

খান রফিক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে একচেটিয়াভাবে মাঠে তৎপর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা এখনো তাঁর পাশে এসে দাঁড়াননি।

এদিকে, বিএনপি ভোটে না যাওয়ার কথা বললেও নতুন করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবায়দুল হক চাঁন মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে।

বিএনপি নেতা চাঁন এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ খোলেননি। তবে চানেঁর এলাকা নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব বাবুল তালুকদার বলেন, চাঁন ভাইমেয়র প্রার্থী হবেন কি না তা জানা নেই। তবে মনে তো সবারই চায়। যাঁরা নির্বাচন করেন তাঁদের নেশা থেকেই যায়। পার্শ্ববর্তী ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মারুফ বলেন, ‘আমি চান ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, “শুনেছি আপনি নাকি নির্বাচনে দাঁড়াবেন?” তিনি স্বীকার করেননি।’

যদিও মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামালের ছেলে কামরুল আহসান রুপন এ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি (চাঁন) প্রার্থী হবেন বলে শুনেছেন। ভেতরে-ভেতরে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। 
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবায়দুল হক চাঁন বলেন, যেহেতু এটা স্থানীয় নির্বাচন। তাই বলতে চাই স্থানীয় নির্বাচনে ব্যক্তিবিশেষের প্রভাব প্রথম। তারপর দলের প্রভাব। একটা সময় ছিল স্থানীয় নির্বাচনে যে কেউ দাঁড়াতে পাড়বে, কিন্তু মার্কা পাবে না। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরিশাল পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীরকে; কিন্তু ওই সময় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজয় লাভ করেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।

তিনি প্রার্থী হচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এবায়দুল হক চাঁন বলেন, ‘আমার দল এখনো ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) নেয়নি। অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়র প্রার্থী 
হতে বলেছেন। তবে এখনো অনেক সময় আছে।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ এবং ২০০৮ সালের বিসিসি নির্বাচনে চান বিদ্রোহী হিসেবে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন। 
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘চাঁন ভাই সিটি নির্বাচনে অংশ নেবেন, এমন কিছু শুনিনি। দল যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে তো নিজের দায়িত্বে নির্বাচন করতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তাহলে বলার কিছু নেই।’

এদিকে, বিএনপির আড়ালে স্থানীয় কৌশলে এবায়দুল হক চাঁন প্রার্থী হলে ভোটে অনেকটা চ্যালেঞ্জে পড়বেন নৌকার প্রার্থী—এমনটিই মনে করেন নগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নগরের ভাড়া বাসায় প্রতিদিন শত শত নেতা-কর্মী ভিড় করছেন এবং তিনি প্রায় দিনই কর্মীসভা করছেন।

নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন লিটু বলেন, প্রার্থীর পাশে নগর আওয়ামী লীগ যায় না—এটা নিন্দুকেরা ছড়াচ্ছেন। জেলা ও মহানগরের বর্ধিত সভায় নির্বাচনী কৌশল ঠিক হবে।

আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘এবায়দুল হক চাঁন মেয়র প্রার্থী হলে হতেই পারেন। জনগণ যদি আমাকে যোগ্য প্রার্থী মনে করেন তবে ভোট দেবেন।’

নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখে বললেও দৃশ্যত আপনার পাশে কেন নেই—এমন প্রশ্নে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, ‘কেউ যদি না আসে না আসুক। আমি নৌকার প্রার্থী। এটা দল দেখবে, জনগণ দেখবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ