আর মাত্র তিন দিন পরই সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় নতুন বছরে নতুন বই হাতে পাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে উপজেলার সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাহিদা মোতাবেক নতুন পাঠ্যবই সংগ্রহ করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা।
তিন দিন পরই নতুন বছর। আর নতুন বছর মানেই নতুন বই। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে এবারও বই উৎসব হবে না। তবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বই বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ। আর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়ার সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, এমনটা জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। আর ওই বিদ্যালয়গুলোতে ২৪ হাজার ৪৫৭ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৪ কপি এবং প্রাক-প্রাথমিকে ৫ হাজার ৪১৫ কপি বইয়ের চাহিদা থাকলেও ইতিমধ্যে ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৩ হাজার ৩৭১ কপি নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। বাকি বইগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
উপজেলার শিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান জানান, নতুন বই বিতরণের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারিতে তাঁর বিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থীর মাঝে ওই নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, তাড়াশ উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে নতুন বই এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে। ১ জানুয়ারিতে ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি সব শিক্ষার্থী যাতে বছরের শুরুতেই নতুন পাঠ্যবই হাতে পায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।