হোম > ছাপা সংস্করণ

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি

রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)

আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে একসময়ের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। আগের মতো এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ একসময় ঢেঁকির ধুপুর-ধাপুর শব্দে মুখর ছিল গ্রামীণ জনপদ। ঢেঁকির সেই শব্দ আর এখন শোনা যায় না।

জানা গেছে, সত্তরের দশকে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে ঢেঁকি ছিল। এখন আর তা নেই। ঢেঁকি তৈরি করা হতো বরই, বাবলা ও জামগাছের কাঠ দিয়ে। সাড়ে তিন থেকে চার হাত দৈর্ঘ্য, আর পৌনে এক হাত চওড়া। আশির দশকের পর ইঞ্জিনচালিত ধান ভাঙা কল আমদানি শুরু হওয়ার পর গ্রামাঞ্চল থেকে ঢেঁকি বিলীন হওয়া শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে এখন আর ঢেঁকির দেখা মেলে না। কালের বিবর্তনে ঢেঁকি এখন শুধু ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে। উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের লিপি আক্তারের বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির আশপাশের লোকজনের সুবিধার্থে আটা তৈরি করার জন্য এ ঢেঁকি রাখা হয়েছে। নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করার জন্য তাঁর বাড়িতে আসেন অনেকে। আগে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঢেঁকিতে চালের আটা তৈরি করতে আসতের। কিন্তু এখন আর তেমন কেউ আসে না। এখন সবাই মেশিনে চাল মাড়াই করেন।

কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম বাংলায় এক সময় ঢেঁকির গুরুত্ব ও কদর ছিল বেশ। বর্তমানে বৈদ্যুতিক বা আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় তা বিলুপ্তির পথে। আগামী প্রজন্ম যাতে বাংলার এসব সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন স্থাপন করতে পারে, সে জন্য সরকারি বা বেসরকারিভাবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা জরুরি। তা না হলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা গ্রামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ