হোম > ছাপা সংস্করণ

দুর্গন্ধে মন বসে না পাঠে

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পৌরসভার ভাগাড়ের কারণে রেলওয়ে সরকারি স্কুলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে ভাগাড়ের দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যাসহ ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

তবে ভাগাড়টি সরিয়ে নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ময়লার ভাগাড়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি স্কুলে যাওয়ার প্রধান সড়কে পৌরসভার ভাগাড়। পরিচ্ছন্নকর্মীরা আশপাশের এলাকা থেকে ময়লা এনে এখানে স্তূপ করে রাখেন। ফলে দুর্গন্ধ তো আছেই, সেই সঙ্গে ময়লা পরিবহনের ভ্যান আর ডাম্প ট্রাকের কারণে সেখান দিয়ে যান চলাচলও প্রায় অসম্ভব। প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। সড়ক দিয়ে যেতে হলে দুর্গন্ধে নাক চেপে যেতে হয়। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, প্রভাব পড়ছে ছোট ছোট শিশু ও বয়স্কদের।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা এনে এখানে স্তূপ করে রাখেন। ফলে দুর্গন্ধ তো আছেই, সেই সঙ্গে ময়লা পরিবহনের ভ্যান আর ডাম্প ট্রাকের কারণে সেখান দিয়ে যান চলাচলও প্রায় অসম্ভব। 

শিক্ষার্থী সাদিয়া বলে, ‘এই রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য। এ ছাড়া ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অন্য কোথাও ভাগাড়টা স্থানান্তরিত করে।’

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ বলেন, ‘পৌরসভার আবর্জনার স্তূপটি সরাতে কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত এখান থেকে ময়লার স্তূপ অন্য কোথাও নিয়ে রাখার অনুরোধ করছি।’

আখাউড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল আহসান খাদেম বলেন, ‘আমি নিজেও ভুক্তভোগী। খুব দ্রুত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে।’

আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, ক্লাস চলাকালে দক্ষিণের বাতাসের সঙ্গে ময়লার ভাগাড়ের উৎকট দুর্গন্ধ ক্লাসে আসে। ফলে শিক্ষার্থীদের বমিসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাচ্ছি, কর্তৃপক্ষের কাছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হিমেল খান বলেন, পচনশীল এ দ্রব্য থেকে ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে খাসজমির জন্য একটা আবেদন করেছি, খাসজমি পেলে খুব দ্রুত এটা সরিয়ে নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ