হোম > ছাপা সংস্করণ

চরমপত্র

এম আর আখতার মুকুল

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এম আর আখতার মুকুল নানা পথ দিয়ে পৌঁছালেন কলকাতায়। খবর পেলেন, তিনি যে মাকিরিনি সংবাদ সংস্থায় সংবাদদাতা হিসেবে চাকরি করতেন, সেটা তখনো বহাল আছে। ইউপিআইয়ের কলকাতার সংবাদদাতা অজিত দাশের সঙ্গেও এম আর আখতার মুকুলের ছিল ঘনিষ্ঠতা। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ২৫ মিটার ব্যান্ডে ৫০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন বেতারকেন্দ্রটি চালু হয়েছিল একাত্তরের ২৫ মে। এই কেন্দ্রের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা, আইনজীবী আবদুল মান্নান।

এম আর আখতার মুকুলকে ডাকলেন আবদুল মান্নান। বললেন, ‘মুকুল সাহেব, এত দিন তো শুধু চাপাবাজিই করলেন। এখন বুঝব রেডিওতে আপনি কেমন অনুষ্ঠান করেন।’

দিন কয়েকের মধ্যেই শুরু হলো তাঁর ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল এটি।

এ সময় টোকিও থেকে ইউপিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজারের লেখা একটি চিঠি এল ১ নম্বর চৌরঙ্গী টেরাসে অজিত দাশের অফিসে। মুকুলকে লেখা। তারিখটি ১০ জুন। তাতে লেখা আছে, ‘…একটা বিদ্রোহী বেতারকেন্দ্র থেকে তোমার প্রপাগান্ডামূলক অনুষ্ঠান সম্পর্কে পাকিস্তান সরকার ঘোর আপত্তি জানিয়েছে। তাই হয় তুমি এই অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করো, নয়তো ইউপিআইয়ের সংবাদদাতার চাকরি থেকে ইস্তফা দাও।’

মাথা ঝিমঝিম করে উঠল এম আর আখতার মুকুলের। চাকরি না থাকলে কলকাতার মতো শহরে টিকে থাকবেন কী করে? সেদিন লন্ডন থেকে তাঁর শ্যালকের লেখা আরেকটি চিঠিতে জানতে পারলেন, বগুড়ার কাহালুর গ্রামাঞ্চলে পাকিস্তানি সেনাদের অতর্কিত হামলায় এম আর আখতার মুকুলের বাবা নিহত হয়েছেন।

এম আর আখতার মুকুল অজিত দাশের টাইপরাইটার টেনে নিয়ে লিখলেন, ‘আমি দুঃখিত যে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের প্রপাগান্ডা অনুষ্ঠান চরমপত্র বন্ধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অনুগ্রহ করে আমার এই টেলিগ্রামকেই পদত্যাগপত্র হিসেবে গ্রহণ করুন।’

সূত্র: এম আর আখতার মুকুল, আমি বিজয় দেখেছি, পৃষ্ঠা ৬৫-৬৬

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ