হোম > ছাপা সংস্করণ

গানের ভেতর দিয়ে

সম্পাদকীয়

১৯৩৫ সালে যখন ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জের অভিষেক হলো, সে বছর গ্রীষ্মের ছুটিতে ড. কাজী মোতাহার হোসেন তাঁর পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় বেড়াতে গেলেন। সেখানে যাওয়ার পর কাজী সাহেবের মনে হলো, আরেক কাজী, অর্থাৎ কাজী নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তো দাবা খেলা যায়!

সে সময় নজরুল থাকতেন ইনটালিতে। সেখানকার বাড়িগুলো সব গায়ে গায়ে লাগানো। দোতলা বাড়ি, ঠিক মাঝখান দিয়ে সিঁড়ি উঠে গেছে। দোতলায় দুটো ফ্ল্যাট। তার একটিতে থাকেন নজরুল। পাঁচটি ঘর সে ফ্ল্যাটে। আলো-বাতাস খুব। ল্যান্ডিংয়েই ছিল একটা পাখি। কেউ বাড়িতে এলেই সেটা বলে উঠত, ‘কে এল? কে এল?’

এই পাখিকে আমাদের দেশে ডাকা হয় লালমোহন বলে। আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় সেটার নাম ম্যাকাও। পাখির ডাকেই কলবেলের কাজ হতো। দরজা খুলে অতিথি বরণ করে নিতেন বাড়ির অধিবাসীরা।

নজরুলের মুড দেখেই কাজী মোতাহার হোসেন বুঝলেন, আজ আর দাবা খেলা হবে না। তাহলে গান হোক। কাজী সাহেবের সঙ্গে তাঁর ছেলেমেয়েরাও এসেছে। গানের পাগল তারাও। নজরুল তখন কাগজ আর ফাউন্টেন পেন নিয়ে খসখস করে লিখে চলেছেন। গান লেখা শেষ হলে কাজী সাহেবের মেয়ে যোবায়দা মির্যাসহ আরও যারা ছিল, তাদের গানটি শিখিয়ে দিলেন। ওরা তো মহা আনন্দে গান শিখে নিল। এবার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ‘নজরুলের নতুন গান’ গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে। কিন্তু নজরুল তখন বললেন, ‘এ গানটা রেকর্ড বের হওয়ার আগে তোমরা কোনো আসরে গেয়ো না।’ এ কথা শুনে ছোটদের মন একটু খারাপই হয়েছিল।

তবে আনন্দের ব্যাপার হলো, নজরুলের লেখা গানের রেকর্ড যখন বের হতো হিজ মাস্টার্স ভয়েজ থেকে, তখন নজরুল বেশ কয়েক কপি পেতেন বিনা মূল্যে। তারই একটি পাঠিয়ে দিতেন কাজী মোতাহার হোসেনের বাড়িতে। যোবায়দারাও তন্ময় হয়ে শুনত সে গান।

সূত্র: যোবায়দা মির্যা, রচনা সংগ্রহ, পৃষ্ঠা ৮৪-৮৫

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ