কালিহাতীতে শাজাহান সিরাজের বাড়ির নামফলকের লেখায় স্থানীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কালিহাতী উপজেলা সদরে শাজাহান সিরাজের বাড়ির মূল ফটকের নামফলকে লেখা ‘স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ ও রাবেয়া সিরাজ’। এরপরেই লেখা রয়েছে ঠিকানা।
এমনভাবে লেখার কারণে মনে হচ্ছে স্বাধীনতার ইশতেহারের পাঠক যেন শাজাহান সিরাজ ও তাঁর স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ খোদ ইশতেহার পাঠকের বাড়ির নামফলকের কারণে ভুল ইতিহাস জানছে বর্তমান প্রজন্ম। তাঁরা নামফলকটি দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস গেছে গত বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেলে প্রশ্ন জাগে কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেতু, পার্থ ঘোষ ও মীমের। তারা শাজাহান সিরাজের বাড়ির মূল ফটকের নামফলক পড়ে বলে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ ও রাবেয়া সিরাজ দুজনই। এই তিন শিক্ষার্থী বলে, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন বিভ্রান্তিতে ভুল জানছি আমরা। দ্রুত এটি সংশোধন করা না হলে আরও অনেকেই ভুল ইতিহাস জানবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবিন বলেন, শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতা সংগ্রামের বড় মানের নেতা। তাঁর পরিবার এত বড় ভুল করেছে। এটি দ্রুত সংশোধন করা দরকার।
কালিহাতী সাধারণ পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহুরুল হক বুলবুল ও আলাউদ্দিন সিদ্দিকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল হোসেন ভূইঞা বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার অন্যতম স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ। বাড়িটির নামফলকে এ ভুল কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক ইতিহাস জানছে। বিষয়টি দ্রুত সংশোধন করা দরকার।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল বলেন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, রাবেয়া সিরাজ নয়। এটি দ্রুত সংশোধন করা দরকার।
শাজাহান সিরাজের সহধর্মিণী রাবেয়া সিরাজ এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি ভুল কি না তা চিন্তা করে দেখব। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক তো শাজাহান সিরাজ। নামের আগে লেখা ও থাকলে কি ভুল হয়?’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমি দেখে বলতে পারব। আগামীকাল (শনিবার) যোগাযোগ করব।