রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হিমেলের মরদেহ তাঁর নানার বাড়ি নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি মহল্লায় পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সদা হাস্যোজ্জ্বল হিমেলের এভাবে অকালমৃত্যু তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি মহল্লায় অবস্থিত নানার বাড়িতে জন্ম হিমেলের। শৈশবে বাবার বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। এরপর নাটোরে চলে আসেন হিমেল। সেখান থেকেই নাটোর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও পরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজে লেখাপড়া শেষ করেন তিনি। পরে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে।
হিমেলের নানা মনিরুল ইসলাম বলেন, হিমেল পরের বিপদে নিঃস্বার্থভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কিন্তু পড়াশোনার শেষ পর্যায়ে নিজের জীবনপ্রদীপই নিভে গেল।
গতকাল হিমেলের বাড়িসংলগ্ন নববিধান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে তাঁর মরদেহ রাখা হয়। এ সময় শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি হিমেলের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দেন।