হোম > ছাপা সংস্করণ

ইউপি ভবন পড়ে থাকে, আসেন না চেয়ারম্যান

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

চৌহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুবারের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি। তাঁর নিজ এলাকা ইউনিয়নের চৌহাট এলাকায় এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভবন রাজাপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিজ এলাকায় পরিষদের কার্যালয় না হওয়ায় সেখানে নিয়মিত বসেন না চেয়ারম্যান।

নিজের এলাকায় অস্থায়ী অফিস তৈরি করে, সেখান থেকেই পরিষদের কাজ পরিচালনা করে আসছেন ছয় বছর ধরে। তাঁর আগে তাঁর স্বামী মো. মোকছেদও ওই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনবার। তিনিও পরিষদ কার্যালয়ে অনিয়মিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমাতে, স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের জন্য নির্ধারিত স্থান, ইউনিয়নের মাঝামাঝি অংশে করার জন্য প্রস্তাব দেন বেশির ভাগ ইউপি সদস্য। কিন্তু চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা না ভেবে নিজের এলাকায় বসেই কার্ড বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শুধু স্মার্ট কার্ডই নয়, কারও জন্মনিবন্ধন বা অন্য কোনো প্রয়োজন হলে এমনকি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিতে গেলেও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যাওয়া লাগে।

৮৩ বছরের বৃদ্ধ আমির হোসেন বলেন, ‘ঠিকমতো চলতে পারি না। বাড়ি থেকেও তেমন বের হই না ডাক্তার দেখানো ছাড়া। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের জন্য ৫ কিলোমিটার আসতে হলো। আসতে-যাইতে ১০ কিলোমিটার। না এসেও উপায় নাই। কার্ড তো নিতেই হবে। যদি কার্ডগুলা ইউনিয়নের মাঝামাঝি কোনো জায়গায় দিত, তাহলে এত কষ্ট হতো না।’

চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম। আমির হোসেনের মতো আরও অনেকেই আসছেন তাঁদের স্মার্ট কার্ড নিতে। ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়, উত্তর চৌহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাঁদের নিতে হচ্ছে স্মার্ট কার্ড।

এক ইউপি সদস্য এ বিষয়ে বলেন, ‘ইউনিয়নের চৌহাট ও রাজাপুর—এই দুই এলাকার মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা নেই। দুই এলাকার লোকেরাই নিজেদের এলাকায় পরিষদ স্থাপন করতে চেয়েছেন। পরে রাজাপুরে ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপন করা হয়।’

ওই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘এ কারণেই ভোগান্তি হচ্ছে। আমাদের কথা চেয়ারম্যান বা নির্বাচন কর্মকর্তা কেউই আমলে নেননি।’

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। কার্ড বিতরণ করার জন্য এই জায়গা তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’

তবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, ‘কার্ড বিতরণের জন্য অনেক রুমের প্রয়োজন হয়। ইউনিয়ন পরিষদে এত রুম ফ্রি নেই। তাই চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্ধারিত জায়গায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।’

চৌহাট ইউনিয়নের মাঝামাঝি অনেক বিদ্যালয় আছে। সেখানেও কার্ড বিতরণ করা যেত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই দুই এলাকার মধ্যে সমস্যা আছে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না আমি। চেয়ারম্যান জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেখানেই কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ