লালমনিরহাটে সুপারি চুরির অভিযোগে এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ হিরামানিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রোববার দুপুরে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দীলিপ কুমার রায় নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার প্রিয় নাথ রায় ও তাঁর ছেলে রবিন চন্দ্র রায় শিশু চয়ন চন্দ্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সুপারি চুরির অভিযোগ এনে প্রিয় নাথরায় ও তাঁর ছেলে রবিন চন্দ্র রায় গত শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী হিরামানিক বাজারে গিয়ে চয়ন চন্দ্রকে ধরে আনেন। তাঁরা ওই শিশুকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে এসে গাছে বাঁধেন ও নির্যাতন শুরু করেন।
এরপর গাছের সঙ্গে বাঁধন খুলে ঘরের ভেতরে পিলারের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। পরে পিলার থেকে বাঁধন খুলে দিয়ে মাটিতে বসিয়ে রেখে মারধর করেন। একপর্যায়ে চয়ন চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সে সেখানে ভর্তি রয়েছে।
চয়নের বাবা মিন্টু চন্দ্র বলেন, তাঁর ছেলেকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে যাঁরা মারধর করেছেন তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি। ছেলেকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা করেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কামরুল হাসান প্রিন্স বলেন, মারধরের ঘটনায় গত শনিবার রাতে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার চিকিৎসা চলছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাআলম বলেন, শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।