নাঙ্গলকোটে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন তার মা। মায়ের অভিযোগ, উপজেলার একই গ্রামের হায়াতুন নবী নামের এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। তবে এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। উল্টো দুই পক্ষ মিলে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমঝোতার চেষ্টা করছে।
মা জানান, ঘটনার দিন ওই ছাত্রী নিজেদের ফসলের খেতে একা কাজ করছিল। এই সুযোগে অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকি দেন অভিযুক্ত। ভয়ে এত দিন কাউকে কিছু জানায়নি কিশোরী। কিন্তু মেয়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনে মা বুঝতে পারেন মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। মায়ের বকাবকিতে ধর্ষণের বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগী। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে শিশুটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত পালিয়ে যান।
অভিযুক্তের মা বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।’
তবে অভিযুক্তের চাচা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য। এখন আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে বসে সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বলেন, ‘পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। গ্রামবাসী বলছে, সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হবে।’