নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। তবে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন সীমিত পরিসরে করা হয়।
বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হয়।
এর পর প্রশাসনিক ভবনের পাশে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্থাপিত কাউন্ট ডাউন ঘড়ির সামনে ১৫ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটা হয়। যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে কেক কাটা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মো. মেহেদী হাসান, ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে।
যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন।