ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনেই বসছে মাছের বাজার। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত স্কুলের সামনে চলে এই বাজার।
এতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এ ছাড়া মাছের বাজারের নোংরা পানি আর ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ সবাই।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের প্রবেশপথের দুপাশে রাস্তার ওপর মাছের অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান। ফটকের মধ্যে সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছ। যেন ফটকটিই দোকানদারের মাছ রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বোঝাই যায় না এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথ।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারটির কারণে স্কুলে যাতায়াতে তাদের অনেক সমস্যা হয়। সকালে স্কুলের সময়ে বাজারে অনেক ভিড় থাকে। ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে স্কুলের প্রবেশপথ ও সামনের রাস্তা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, গেটে মানুষের ভিড়ের কারণে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া মাছের পচা পানির দুর্গন্ধ তো আছেই। দুর্গন্ধের কথা মনে পড়লে স্কুলে যেতে ইচ্ছে হয় না তাদের।
মাছ ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) জানান, আগে ব্যবসায়ী কম ছিল। এখন বেশি হওয়ার কারণে স্কুল গেট পর্যন্ত বসতে হয়। যেহেতু বাচ্চাদের অসুবিধা হয়, তাই স্কুলগেটে এখন থেকে আর বসবেন না বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক শামসুন নাহার সুলতানা বলেন, দুই বছর আগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাছ বাজারটি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধের সুযোগে আবার নতুন করে বড় পরিসরে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, যে রাস্তাটিতে মাছ বাজার বসে, ওই রাস্তাটা সরকারি। যেহেতু মাছ বাজারের কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে তাই ইউএন, ও স্কুল কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মাছ সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।