শিক্ষক হেনস্তা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়। এটি সমাজের বড় রোগের প্রকাশ। সমাজে যে নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধঃপতন হয়েছে, তারই প্রকাশ। ভয়ংকর যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া উচিত।
শিক্ষকদের সম্মান করাই ছিল পারিবারিক চর্চা, সামাজিক রীতির অংশ। আর এখন যা ঘটছে, তা সাংস্কৃতিক সমস্যা। এ সমস্যা এক দিনে তৈরি হয়নি।
দিনের পর দিন একেকটি ঘটনা ঘটেছে, যা সবাই অবহেলা করেছে। আগেই যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে বর্তমান পর্যায়ে যেতে পারত না।
এই রাষ্ট্র তৈরি হয়েছিল গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। লক্ষ্য ছিল সমাজতন্ত্র। কিন্তু পুঁজিবাদী উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নানামুখী টানাপোড়েনে সাংস্কৃতিক বিকাশের দিকটিতে ক্রমাগত ধস নেমেছে। এ অবস্থায় দুর্বলের ওপর আঘাত এসেছে বারবার।
এখন এই সমস্যার সমাধানের জন্য সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে সামনে রেখে একটি সামাজিক বিপ্লব দরকার। দেশজুড়ে এই আন্দোলন হতে হবে।
কারা করবে এই আন্দোলন? হৃদয়বান, বিবেকবান ও বুদ্ধিমান লোকদের এই আন্দোলন করতে হবে, যাতে বাচ্চারা শেখে, কীভাবে মানুষকে সম্মান করতে হয়।
লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়