হোম > ছাপা সংস্করণ

বান্দরবানে বাড়ছে ডেঙ্গু, দিনে শনাক্ত ২০ রোগী

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ‍্যে সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। চলতি মৌসুমে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭৫। এর মধ‍্যে সদর উপজেলায় ২৩৯ জন। তবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত‍্যুর ঘটনা নেই।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী জেলায় ডেঙ্গুকে ‘ক্ল‍্যাসিকাল’ উল্লেখ করে বলেন, জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ‍্য জানা গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গত তিন মাসে (৩ নভেম্বর পর্যন্ত) জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ‍্যা ৬৭৫। এর মধ‍্যে সদর উপজেলায় ২৩৯ জন, রোয়াংছড়িতে ১৭৬, আলীকদমে ১৫৪, রুমায় ৪৬, থানচিতে ৪৮, লামায় ৮ এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪ জন।

স্ব‍াস্থ‍্য বিভাগের সূত্রমতে, কয়েক দিন ধরে ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনের মতো ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর আগে ১ নভেম্বর পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ছিল ৬৫৫ জন। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন শনাক্ত হয়েছে। এ ২০ জনের মধ‍্যে সদর উপজেলাতেই ১৬ জন। এ ছাড়া থানচিতে ৩ ও আলীকদমে ১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) জেলায় শনাক্ত ১৬ জনের মধ‍্যে সদর ও রোয়াংছড়িতে ৪ জন করে, থানচিতে ৫ ও আলীকদমে ৩ জন।

এদিকে বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, বান্দরবানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আক্রান্তের পর প্লাজমা লিকেজ ডেঙ্গুকে ভয়ংকর করছে।

তবে সিভিল সার্জন সাধারণ মানুষকে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বান্দরবানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বেশি হলেও ভয়ের কারণ নেই।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রমতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ‍্যা বেশি। এর মধ‍্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সদর উপজেলায়। এরপর রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়।

তবে আক্রান্তদের বেশির ভাগই নিজ বাসাবাড়িতে থেকে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিচ্ছে বলে সিভিল সার্জন জানান।

সিভিল সার্জন বান্দরবানের ডেঙ্গুকে ক্ল‍্যাসিকাল অভিহিত করে বলেন, এটি সাধারণ ডেঙ্গু। চিকিৎসার নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। তবে তিনি বলেন, বান্দরবানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ‍্যা ও হার প্রতিদিন বেড়েই চলছে।

সিভিল সার্জন বলেন, মশকনিধনে পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এডিস মশার লার্ভা থেকে যেহেতু মশা জন্মায়, তাই ঘর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি তিন দিনের বেশি পানি পাত্রে রাখা যাবে না। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং বাজার ও এলাকার নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ হলো তীব্র জ্বর, সেই সঙ্গে শরীরের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয়। শরীরের হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথা ব্যথা ও চোখের পেছনে তীব্র ব্যথা হয়।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা সরকারি হাসপাতালে আসছে, তাদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাসায় থেকে যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদেরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন।

সার্জন নীহার রঞ্জন আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ‍্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। এমনকি কোনো চিকিৎসা না নিয়েও সুস্থ হওয়া যায়। তবে অবশ‍্যই কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ