সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এক দিন পরেই শুরু হবে এই উৎসব। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরি শেষে চলছে শেষ মুহূর্তে রঙের কাজ। এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।
গত বুধবার (৬ অক্টোবর) মহালয়া শুরু হয়েছে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে পূজার মূল পার্বণ শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। এ বছর মহাষষ্ঠীতে মহামায়া দশভুজা দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে ঘোটকে (ঘোড়ায়) করে এবং পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে দোলায় (দোলনা) চড়ে কৈলাসে ফিরবেন।
এ বছর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে ১৪৯টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায়, শিল্পীদের নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগরেরা ফুটিয়ে তুলেছেন দেবী দুর্গাকে।
বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরি শেষে রং করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষ্ণ পালকে। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। আমার বাপ-দাদাও প্রতিমা তৈরির কাজ করতেন। মৌসুম এলেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। এ ছাড়া সারা বছর বসেই থাকতে হয়। এ বছর আমি ১৫টি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। প্রতিমা প্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিচ্ছি।’
বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ কুন্ডু চন্দন বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে প্রতি বছরই শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন হয়। এ বছরও হচ্ছে। এখন প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। গত বছর করোনার কারণে সীমিত করা হয়। এ বছরও সীমিত করা হবে।’
উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রাম গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘উপজেলায় ১৪৮টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হবে। সব মন্দির কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদ্যাপন করে। পাশাপাশি মন্দিরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানাই।’
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজায় আইনশৃঙ্খলা জোরদারে থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’