ফেসবুক পেজের কল্যাণে ৩১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেয়েছে বরগুনার বামনার একটি পরিবার। গত বুধবার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মো. আব্দুর রব মিস্ত্রীর বড় ছেলে মো. জালাল আহম্মেদ সপরিবারে ভারতের কর্ণাটক প্রদেশ থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছান।
ছেলেকে পেয়ে খুশির অন্ত নেই আবদুর রবের। বলেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে আট বছর বয়সে ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে দেওবান কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে যান শিশু জালাল আহম্মেদ। এর কিছুদিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে হারিয়ে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে আশাই ছেড়ে দিয়েছিল আবদুর রবের পরিবার। গত বছরের মে মাসে ‘বামনা সংবাদ’ নামে একটি ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করেন জালাল।
‘বামনা সংবাদ’ পেজের মডারেটর গোলাম রেদোয়ান রাব্বি তালুকদার বলেন, ‘আমাদের পেজে জালাল আহম্মেদ নক করেন। খুঁজতে খুঁজতে দুই দিন পরে তাঁর মা-বাবাকে পেয়ে যাই। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুধবার জালাল সপরিবারে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।’
জালাল আহমেদ জানান, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কোনো বৈধ উপায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কর্ণাটক রাজ্যের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। সেখানকার নাগরিকত্বও লাভ করেন জালাল। বিয়ে করেন সেখানে। বর্তমানে দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার কর্ণাটকে। ৩০ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলেন।
বামনা থানার ওসি মো. বশিরুল আলম বলেন, ‘ওই বাড়িতে গিয়ে জালাল ও তাঁর বাবা আবদুর রবের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলেকে ফিরে পেয়ে পরিবারটি খুব খুশি।’