হোম > ছাপা সংস্করণ

বড়কুঠিকে জাদুঘর করতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রত্নতত্ত্বের প্রকল্প

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজারের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উত্তরপারে ৩০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে দোতলা একটি ভবন। ভবনটির নাম ‘বড়কুঠি’। ১৭২৫ সালের আগে ডাচরা তাঁদের ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে ভবনটি নির্মাণ করেছিল। এটিই রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো ভবন। ভবনটি জাদুঘরে রূপান্তর করতে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে বড়কুঠি। সেখানে সংরক্ষণ করা হবে ডাচদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র, ছবি ও পেইন্টিং। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নানা উপকরণেরও ঠাঁই হবে সেখানে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নাহিদ সুলতানা বলেন, বড়কুঠির কাঠের সিঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। একেবারেই ভেঙে গেছে। ঘরের ছাদ থেকে খসে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বড়কুঠি ভবন ব্যবহারযোগ্য করে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। এ জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মধ্যেই এ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটির ভেতরে বড়কুঠি ছাড়াও আরও কিছু পুরোনো ভবন সংস্কার করা হবে বলেও জানান নাহিদ সুলতানা।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ডাচরা তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁরা ১৮১৪ সালে ইংরেজদের সঙ্গে একটি চুক্তি করে এবং বড় কুঠিসহ সব ব্যবসা কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত বড়কুঠিকে তাঁদের ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। ১৮৫৮ সালে কোম্পানি বিলুপ্ত হওয়ার পর বড়কুঠি পড়েই ছিল। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বড়কুঠিতেই প্রথম প্রশাসনিক ভবন হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়।

এখনো এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই আছে। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে বড়কুঠিকে একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

তবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ম্যানেজ করে স্থানীয় এক ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয় সংরক্ষিত এই পুরাকীর্তিতে। এ খবর গণমাধ্যমে উঠে এলে নড়েচড়ে বসে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। গত বছরের মার্চে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে জরুরি সংস্কার করা হয় ভবনটির।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে প্রকল্প প্রস্তুতের কাজ থমকে ছিল। এখন আবার জোরেশোরে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই প্রকল্প প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর প্রকল্পটি পাস করিয়ে সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ