হোম > ছাপা সংস্করণ

২ সপ্তাহ ঝুলিয়ে রেখে আসামির নাম ছাড়া মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে পুলিশের নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলাটি নিয়েছে পুলিশ। তবে এজাহারে কোনো আসামির নাম ছাড়াই। গাড়িচাপায় মহুয়ার বাবার পা হারানোর ঘটনার দুই সপ্তাহ পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে রাজধানীর বনানী থানায়।

বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং গত রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, মামলার তিনি তখনো কিছু জানেন না। থানা থেকে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে এর আগে মামলার বাদী মহুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অভিযোগে আসামির নাম দেওয়ায় মামলাটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে আবেদন করতে বলা হয়। তাই নতুন করে ৯ ডিসেম্বর এভাবে আবেদন করেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন ছিল, তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয়েছে। বাদীর অভিযোগে কোনো অভিযুক্তের নাম ছিল না বলেও জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্জেন্ট মহুয়ার আত্মীয় বলেন, ‘এত তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হলো। এতেই বোঝা যাচ্ছে এ বিচার আমরা কখনো পাব না। শুধু গণমাধ্যমের চাপের কারণে মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত বা বিচার করার জন্য নয়।’

গত মঙ্গলবার থেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে নিষেধ করা হয় সার্জেন্ট মহুয়াকে। হাসপাতালের মধ্যেই বসানো হয় পুলিশি পাহারা। এসবের সঙ্গে আছে বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের নানামুখী চাপ। এতে ন্যায়বিচারের আশা অনেকটাই ছেড়ে দিয়ে বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের চিকিৎসায় মনোযোগ দিয়েছেন মহুয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত বাবার চিকিৎসার দিকেই মনোযোগ দিয়েছি। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো না। এখনো আইসিইউতেই রাখা হয়েছে।’ মনোরঞ্জন হাজংয়ের স্ত্রী বলেন, ‘ডান পা কেটে ফেলার পর বাম পা-টাও কেটে ফেলার প্রস্তুতি চলছে।’

২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে দ্রুতগতির একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির চাপায় আহত হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। এক বিচারপতির ছেলে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আহত মনোরঞ্জনকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁর এক পা কেটে ফেলেন। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসার পর অবস্থা আরও খারাপ হলে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

দুই সপ্তাহ ধরে মামলা না নেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার ও নাগরিক সংগঠনগুলোর জোট হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে তারা। গতকাল এক বিবৃতিতে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের বিচার লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত মামলা গ্রহণসহ নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, নারী সার্জেন্ট ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, পেশাগত জীবনে যেন কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং আহত মনোরঞ্জন হাজংয়ের সুচিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ