বরগুনার পাথরঘাটায় উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে মামলা করার পর এবার কলেজছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীর চাচা ও চাচিকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দেন স্থানীয় ইমরান। এতে সায় না দিলে বিভিন্ন সময়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দিত। গত বছরের জুলাই মাসের ২০ তারিখ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার ওড়না টেনে নিয়ে গিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আমার বাবাকে জানালে তিনি ইমরানের পরিবারকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশি উত্ত্যক্ত করে।’
কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে গত বছর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। এরপর আমার মেয়েকে কলেজ থেকে তুলে নিয়ে যাবে এবং অ্যাসিড নিক্ষেপ করার হুমকি দিলে বিষয়টি লিখিতভাবে পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষকে জানাই। শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ইমরান, মামুন ও আউয়াল। বাধা দিলে আমার ছোট ভাইকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আহত করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বলেন, ‘ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর চাচার মাথায় ১০টি সেলাই লেগেছে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেনের মাধ্যমে সুস্থ করা হয়েছে। তবে গর্ভের সন্তান ঝুঁকিপূর্ণ।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আউয়াল ও মামুন খান বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে আমাদের পূর্ববিরোধ রয়েছে, সেই ঘটনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে।’ তবে কলেজছাত্রীকে অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন তাঁরা।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’