শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দেশজুড়ে কুয়াশার প্রভাবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এর ফলে রাজধানীসহ সারা দেশে এখন শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিন এই কুয়াশা থাকবে এবং তাপমাত্রাও কমে যাবে। এরপর কুয়াশার কারণে দিনের তাপমাত্রা কমায় শীতের অনুভূতি বাড়বে। এ সময় কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে আগামী ৭ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এর কয়েক দিন পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বৃষ্টির পরেই তাপমাত্রা বেশ কমে যেতে পারে। ফলে জানুয়ারির মাঝামাঝি তীব্র শীতের আশঙ্কা আছে।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছিতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে গত বছরের শেষ দুই দিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি আর হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাসাতে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। কুয়াশায় সকালের অনেকটা সময় ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনকে। শীতে গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেশি বিপাকে পড়েছে। ফুটপাত ও স্টেশনে বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে গত তিন ধরে গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। অনেক বেলা পর্যন্ত চার দিক ঢাকা পড়ে থাকে ঘন কুয়াশায়। দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলে না সূর্যের। কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত তিন দিন থেকে জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকলেও মধ্য রাত থেকেই মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে।