বরগুনার তালতলীতে লাইসেন্স না থাকায় এবং দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকায় একটি ক্লিনিককে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে আরও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি ফার্মেসির মালিককে মোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার হোসেন শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরে বেসরকারি ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের লাইসেন্স ও দায়িত্বরত ডাক্তার ছিল না। এ ছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। পরে ও হাসপাতালটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় ওই হাসপাতালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং সব পরীক্ষায় ফার্মাসিস্টের একার স্বাক্ষর থাকায় এর মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তালতলী ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা ও বিসমিল্লা ড্রাগ হাউস নামে একটি ওষুধের দোকানকে বিভিন্ন কোম্পানির স্যাম্পল ওষুধ বিক্রি করা এবং ড্রাগ রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে একই দিনে মহসীন রেজা নামের এক ব্যক্তি মা ও শিশু রোগের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, এমন একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এমন অভিযোগে মহসীন রেজার চেম্বারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনি ওই প্রশিক্ষণ-সংশ্লিষ্ট কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। পরে ভুয়া কাগজপত্র দেখালে সেগুলো জব্দ করে তাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও তাঁর চেম্বারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হোসেন বলেন, ‘অবৈধ উপায়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈধতা না থাকায় ক্লিনিকগুলোর মালিককে জরিমানা করা হয় এবং একটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’