হোম > ছাপা সংস্করণ

মূল আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার মূল আসামি, অর্থ জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নিহত কাউন্সিলরের পরিবার ও স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পাথুরিয়া পাড়ায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী মূল আসামি শাহালম ও সোহেলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ সময় নিহত কাউন্সিলরের প্রধান সহযোগী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এ ঘটনা ঘটানোর জন্য অর্থের জোগানদাতা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। সোহেল ভাই অধিক জনপ্রিয় হওয়ায় কেউ এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারবেন না, তাই তাঁরা অর্থ জোগান দিয়ে পরিকল্পনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করে মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতে হবে।

নিহত সোহেলের ছেলে সৈয়দ নাদিম বলেন, এ ঘটনায় যাঁরাই জড়িত থাকুক, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে হবে। একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। এ হত্যার আড়ালের লোকদেরও খুঁজে বের করতে হবে।

এদিকে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১১ আসামির মধ্যে সুমন, রকি, মাছুম, আলম ও জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার দুই আসামি সাব্বির ও সাজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে গত সোমবার দিনগত রাতে নিহত হয়েছেন। এতে ৩ পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এ সময় গুলিসহ পিস্তল, একটি পাইপগান ও কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়। রাত ১টায় নগরীর সংরাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাশ।

এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাব্বি ইসলাম অন্তু নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এজাহারের বাকি আসামিদের ধরতে জেলা পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। অচিরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহম্মেদ।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সরকারি কাজে বাধা, হত্যা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় পার্শ্ববর্তী ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ