হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কে পার্কিং, নগরে যানজট

খান রফিক, বরিশাল

সাম্প্রতিক সময়ে যানজটের নগরে পরিণত হয়েছে বরিশাল। বিশেষ করে নগরের প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে রাত অবধি জট লেগেই থাকে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দাবি, যানজটের প্রধান তিন কারণ অবৈধ যানবাহন, অবৈধ পার্কিং এবং অবৈধ দোকানপাট। বিএমপি মাঝেমধ্যে প্রধান সড়কগুলোতে অভিযান পরিচালনা করলেও ঘণ্টা পেরোতেই আগের চেহারা ফিরে আসে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের ছত্রচ্ছায়ায় নগরের প্রধান সড়কগুলোর ওপর হাফ ডজন অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যদিও ট্রাফিক পুলিশ সূত্র তা অস্বীকার করেছে।

গতকাল বুধবার ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ মো. সেলিমের নেতৃত্বে অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়। নগরের গির্জা মহল্লা ও লঞ্চঘাটে এ অভিযানের এক ঘণ্টা পর ফের অবৈধ পার্কিংয়ে যানজট দেখা দেয়।

গত কয়েক দিন লক্ষ দেখা গেছে, অফিস চলাকালীন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোড, গির্জা মহল্লা, ফলপট্টি, কাকলির মোড়, জেলখানার মোড়, নতুনবাজার, নথুল্লাবাদ, সাগরদী ও বটতলায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্তও একই স্পটগুলোতে অসহনীয় যানজট দেখা দেয়। এমনকি নগরীর বিবির পুকুরপাড়, টাউন হলের সামনে, জেলখানার মোড়সহ বিভিন্ন স্পটে যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসব সড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সব শ্রেণির নগরবাসী।

গির্জা মহল্লায় অভিযানের সময় পথচারী আজিম সালমান, মশিউর দীপু ও শামীমা ইসলাম জানান, এ অভিযানের পরপরই দেখা যাবে সড়কের দুপাশে মোটরসাইকেল ও থ্রিহুইলার আবার অবৈধভাবে পার্কিং করেছে।

জানতে চাইলে ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল রহিম বলেন, গতকাল বুধবার নগরের গির্জা মহল্লা ও লঞ্চঘাটে তাঁরা অবৈধ পার্কিং ঠেকাতে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ সময় পাঁচটি মামলাসহ তিনটি গাড়ি আটক করেছেন। তিনি দাবি করেন, মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করলে ভয় পায়, তাই তাঁরা মাঠে নেমেছেন।

পরিদর্শক রহিম বলেন, নগরে যানজটের অন্যতম সমস্যা পার্কিং। যানবাহন পার্কিং নিয়ম মেনে চলতে ডিসি ট্রাফিক খোলা চিঠি দিয়েছেন দোকানের মালিকদের। কিন্তু সদর রোডসহ ব্যস্ততম এসব সড়কের পাশের পুরোনো ভবনগুলোতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। যে কারণে যানজট লেগেই আছে।

রহিম বলেন, নগরে ১০ হাজারেরও বেশি হলুদ অটোরিকশা। এগুলোর জন্য মেডিকেলের সামনে চৌমাথা, লঞ্চঘাট ও নথুল্লাবাদে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, লঞ্চঘাটের পাবলিক টয়লেট থেকে ১ নম্বর গেট পর্যন্ত অবৈধ দোকানপাটে ভরে গেছে। তাঁরা সকালে সরিয়ে দিলে বিকেলে আবার বসানো হয়। যে কারণে গাড়ি রাখার জায়গা না থাকায় সন্ধ্যায় লঞ্চযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।

রহিম আরও বলেন, যানজটের সবচেয়ে ভয়াবহ স্পট সাগরদী ব্রিজ। সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দিয়েছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেছেন। পদ্মা সেতু খুলে দিলে এক ঠেলায় জ্যাম এত বাড়বে যে সবার নজরে পড়বে। তখন এটি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাবে। নগরের মহাসড়কের ওপর পার্ক করার বিষয়টিও সমন্বয় করা দরকার বলে তিনি জানান। তবে ট্রাফিক পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধ বাসস্ট্যান্ড গড়ে ওঠার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, সড়কজুড়ে এখন পার্কিং করা হচ্ছে। তার ওপর ফুটপাত দখল করে দোকানিদের ভাসমান দোকান। ট্রাফিক বিভাগ মাঝেমধ্যে লোকদেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না কিছুতেই।

এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত সাংবাদিকদের জানান, সড়কের দুপাশে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন অবৈধভাবে পার্কিং করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধভাবে যানবাহন পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা রোধে ট্রাফিকের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ