হোম > ছাপা সংস্করণ

আমড়ার বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তা য় চাষি

শাহীন রহমান, পাবনা

নেছারাবাদে এ বছর আমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে চাষিদের লাখ লাখ টাকার আমরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ভালো ফলনের পরও আমড়ার উপযুক্ত দাম না মেলায় বরাবরই লাভের মুখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে আমড়ার চাষ শুরু হয়। এই পর্যন্ত ব্যক্তিগত বা সরকারি কোনো হিমাগার গড়ে না ওঠায় প্রতি মৌসুমে চিন্তিত থাকেন দুই সহস্রাধিক আমড়া চাষি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে মোট ১৫৭ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আমড়া চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৮ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদিত হয়। তবে এর মধ্যে আটঘর কুড়িয়ানা ও জলাবাড়ী দুইটি ইউনিয়নে সিংহভাগ আমড়ার ফলন হয়। এ ছাড়া, উপজেলার দৈহারী চিলতলা, সমুদয়কাঠী ও সাগরকান্দায় আমড়ার ভালো ফলন হচ্ছে। কৃষি অফিস জানিয়েছে, এই বছর ৩ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেছারাবাদের আমড়া সারা দেশে বরিশালের আমড়া নামে পরিচিত। আমড়া চাষ এ অঞ্চলের মানুষের অনেক পুরোনো পেশা। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি–দুটি আমড়া গাছ রয়েছে। আশির দশকের মাঝামাঝি আটঘর কুড়িয়ানাতে বাণিজ্যিকভাবে আমড়া চাষ শুরু হয়। ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক আমড়ার ভরা মৌসুম।

চাষিরা আমড়া নৌকায় ভরে ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে আসেন। কোনো কোনো চাষি আগাম আমড়া খেত বিক্রি করেন ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা আমড়া কিনে ক্যারেট ও বস্তায় ভরে নৌ ও স্থলপথে পাঠান দূরদূরান্তে। মৌসুমে প্রতিদিন ৪৫–৫০ টন আমড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।

কুড়িআনার আমড়া ব্যবসায়ী তাপস (৪৫) বলেন, ‘এ বছর আমড়া ফলন মোটামুটি ভালো। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় আমড়া পাঠাই। মৌসুমের শুরুর দিকে আমড়ায় লোকসান হয়েছে। শেষ সময়ে আমড়ার দাম একটু বেশি। তবে গেল বারের তুলনায় এ বছর আমড়ার দাম কম। যদি আমড়া সংরক্ষণের জন্য এ অঞ্চলে কোনো হিমাগার গড়ে উঠত তাহলে সবাই লাভবান হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ১৫–২০ টন আমড়া রাজধানীতে চালান করি। প্রতি মন আমড়া ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে কেনা হয়। তারপর সেগুলো আকার অনুযায়ী বস্তায় ভরে ট্রাকে করে রাজধানীতে চালান দেওয়া হয়। ১ মন আমড়া রাজধানীতে পাঠাতে খরচ পড়ে ১৫০ টাকা।’

আন্দাকুল গ্রামের ইলিয়াস (৩৫) বলেন, ‘এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। তাই গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা কষ্টকর হয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়।’

আটঘর কুড়িয়ানার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার বলেন, ‘আমড়া চাষ করে সহস্রাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। অনুন্নত যোগাযোগ আর হিমাগারের অভাবে চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ