শাহবাগ মোড়ে অসুস্থ মেয়েসহ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন মণিপুরিপাড়ার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন হোসেন। আজকের পত্রিকাকে মামুন জানান, হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে বের হওয়ার পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো গণপরিবহন পাননি। এতে বাধ্য হয়ে খুঁজতে হয়েছে বিকল্প পরিবহন।
মামুন বলেন, ‘সিএনজি অন্য সময়ে ১২০ টাকায় গেলেও আজ (শনিবার) ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। মণিপুরিপাড়া যেতে অন্য সময় রিকশা ভাড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা রাখা হলেও এখন ভাড়া চাচ্ছে ১৫০ টাকা। রাস্তায় বাস কম থাকায় রিকশা আর সিএনজিচালকেরা যেন ডাকাতের মতো ভাড়া চায়।’
শাহবাগের মতো রাজধানীর অন্যান্য স্থানেও প্রায় একই চিত্র। ঈদের পরপর হাতে গোনা কিছু গণপরিবহন নেমেছে সড়কে। ফলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাসে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে গণপরিবহন সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এমনকি কোথাও কোথাও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলেও দাবি করছেন যাত্রীরা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ রাস্তাই এখনো ফাঁকা। নগরীর কর্মজীবী মানুষের অনেকেই এখনো ফেরেননি। যে কারণে অলিগলিতেও মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। সেই সঙ্গে ফার্মেসি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ দোকানপাট।
এদিকে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অটোরিকশা ও রিকশার চালকেরা বলছেন, ইদের সময় যাত্রী কম থাকায় ভাড়া একটু বেশি না নিলে সারা দিনের খরচ তোলা যায় না। অটোরিকশার চালক সোহাগ মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় এমনিতেই যাত্রী কম থাকে। কিন্তু মালিকেরা তো আর জমা-খরচ আমাদের কাছ থেকে কম নিচ্ছেন না। ঈদে পরিবারকে সময় না দিয়ে আমরা রাস্তায় নেমে গাড়ি চালাচ্ছি, তাই যাত্রীদের কাছ থেকে ২০-৫০ টাকা বকশিশ নিচ্ছি।’
যাত্রীদের কাছে কেন বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে হচ্ছে, জানতে চাইলে কামরুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘পরিবার-পরিজন বাদ দিয়ে এইখানে রিকশা চালাইতাছি, বকশিশ হিসেবেও তো মানুষ কিছু দিতে পারে। অন্যেরটা জানি না, আমি ভাই কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিতাছিনা।’