দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তদারেরা। শুধু তাই নয়, উল্টো গত কয়েক দিনে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে কমেছে।
পুরোনো পেঁয়াজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে চলতি জানুয়ারির শুরুতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন আমদানিকারকেরা। যার প্রভাবে এক দিনের ব্যবধানে ১ জানুয়ারি কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় ৮ টাকা। তখন ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করেছিলেন, গত বছরের জুলাই মাসের মতো চলতি মাসে আবারও পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠবে। তবে এবার পেঁয়াজের দাম সেভাবে বাড়েনি।
এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৩ টাকায়। অপরদিকে বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫-৩৬ টাকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২-২৪ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটা স্বাভাবিক। এক সপ্তাহে খুব বেশি বাড়েনি, আবার কমেওনি। দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকার নিচে নামার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের এই ব্যবসায়ী।
খাতুনগঞ্জের অন্য কয়েকজন আড়তদার জানিয়েছেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজের একক আধিপত্য ছিল। বর্তমানে সেই জায়গা ভারতীয় পেঁয়াজের দখলে। দিনে গড়ে ১০-১২ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে আসছে। অপর দিকে দেশি পেঁয়াজ আসছে ৬-৭ ট্রাক। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসছে মাত্র ২-৩ ট্রাক।