আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনকে। বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বিশ্বজুড়ে নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এরপরই কমতে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের দাম। গত বৃহস্পতিবারও অপরিশোধিত তেলের দাম ০.৯৬ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি নেমে আসে ৭১ দশমিক ৪০ ডলারে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এর আগে করোনা সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন দেশের আরোপিত লকডাউনের কারণে বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে দাম চলে গিয়েছিল তলানিতে। তবে টিকা কার্যক্রম শুরু হলে অর্থনীতিতে পুনরায় গতি ফিরে আসলে ক্রমেই আবার জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে জরুরি পরিস্থিতির জন্য মজুত থাকা তেলও ছাড়তে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। একই পথে হেঁটেছে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতও।
২০২০ সালের অক্টোবরে জ্বালানি তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৪৩ ডলার। তবে এর এক বছর পর তা পৌঁছে যায় ৮৫.৫ ডলারে। চলতি বছরের অক্টোবরে হঠাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ছিল অপরিশোধিত তেলের। ওপেক প্লাস দেশগুলোর ওপর তেল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাপও দেওয়া হচ্ছিল। ফলে চাহিদার বৃদ্ধি এবং চাপে দেশগুলো দৈনিক চার লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।