হোম > ছাপা সংস্করণ

মানুষের কষ্ট দূর করতে হবে

সম্পাদকীয়

একটি কার্যকর বিরোধী দল না থাকায় দেশে সুশাসনের ক্ষেত্রে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সবক্ষেত্রে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা প্রবল হয়ে উঠেছে। জনগণের ভোটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না বলে সরকারকে জবাবদিহি করতে না হওয়ায় আমলাতন্ত্রের প্রভাব বেড়েছে। বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্নীতি। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে, অসন্তোষ আছে। কিন্তু মানুষের সংগঠিত প্রতিবাদের সুযোগ নানা কারণে সীমিত।

এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে, আছে উসকানি। আস্থা-বিশ্বাসের পরিবেশ না থাকলে মানুষ গুজব ও কানকথায় বিশ্বাস করে। যেকোনো অরাজনৈতিক অপতৎপরতা মোকাবিলা করতে হলে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অপরিহার্য। কিন্তু রাজনীতিটা যেন একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলটিও যে সুস্থ ধারায় অগ্রসর হচ্ছে, সেটা কি বলা যাবে? দলের মধ্যে পাওয়া না-পাওয়ার কোন্দল-বিরোধ এখন তুঙ্গে। যাঁরা দল ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, তাঁরা আরও পাওয়া এবং খাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে যাঁরা বঞ্চিত আছেন, তাঁরাও পাওয়ার আশায় বেপরোয়া। বিরোধী দলকে বাগে রাখা গেলেও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। নানা অপরাধ-অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন আওয়ামী পরিবারের অনেক সদস্য। দলীয়প্রধান নির্দেশ দিয়েও দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারছেন না।

চোখধাঁধানো বড় বড় প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ যে কষ্টে আছে, সেটাও তো ঠিক। আয়-উপার্জন কমছে অনেক মানুষের। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কারণ ছাড়াই। চাল-ডাল-তেল, পেঁয়াজ, আলু, সবজি—সবকিছুরই বাজার চড়া। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ক্রেতারা আলুটাও কিনতে পারছেন না। রাজনীতিকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। একশ্রেণির ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর কাউকে তোয়াক্কা করছে না। সব জায়গায় গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে সবকিছু। মানুষের কষ্ট লাঘবের উদ্যোগ-প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হয়ে না উঠলে রাজনীতি শান্ত না-ও থাকতে পারে। যাঁরা শাসন করছেন, তাঁদের এই সবকিছু ভাবতে হবে। নজর রাখতে হবে সব দিকেই। রাজপথ উত্তপ্ত নয়, তাই সব ঠিক আছে—এই আত্মতৃপ্তি একসময় আত্মঘাতীও হতে পারে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে দলের শক্তি এবং দুর্বলতা বোঝার রাজনৈতিক পরিপক্বতা অর্জন করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ওত পেতে আছে, তাদের সুযোগ করে দেওয়া চলবে না। চিহ্নিত অপরাধীদের আওয়ামী ছাতার নিচে আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি মানুষ সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার পুরোনো কৌশল পরিহার করে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানুষ সব জানে এবং বোঝে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ