কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৩৫ শতক জমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনের নেতৃত্বে দখল করার অভিযোগে উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলিমুদ্দিনের পুত্রবধূ আনজিনা বেগম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম, স্বামী মিজানুর রহমান মিজু ও জমি বিক্রেতা মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী। সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু, সাধারণ সম্পাদক খ. ম আতাউর রহমান বিপ্লবসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগের কর্মীকে নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জমি দখল করেছেন।
দখল করা জমি তিন দিন ধরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করছেন। জমিতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। তাই অভিযোগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমি দখলের সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলীর কাছ থেকে দখল করা ৩৫ শতক জমি কেনেন আনজিনা বেগম। এরপর থেকে সেই জমি ভোগদখল করে আসছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমির সঙ্গে আমি বা ছাত্রলীগের কারও সম্পৃক্ততা নেই। আমার নেতৃত্বে কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃত জমির মালিক নজরুল ইসলাম নিজেই সেখানে ঘর তুলছেন। অভিযোগকারীরা জাল দলিল করে জমিটি দখলে নেয়।’
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে বসে সমঝোতার জন্য আদালতের মাধ্যমে সমাধান নিতে পরামর্শ দিয়েছি। সেখানে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।’