পারিবারিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মহানবী (সা.) পাঁচটি উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাত যখন ঘনীভূত হবে অথবা তোমরা যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে, তখন সন্তানদের দেখে রাখবে। কেননা, শয়তান তখন ঘোরাফেরা করে। এরপর রাত এক ঘণ্টার মতো পার হলে তাদের ছেড়ে দেবে। আর দরজাগুলো আটকিয়ে রাখবে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। কেননা, শয়তান কোনো বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। আর তোমরা তোমাদের পানির পাত্রগুলোর মুখ বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। আর তোমাদের তৈজসপত্রগুলো ঢেকে রাখবে, যদিও তার ওপর একটি কাঠি রেখেও হয়। আল্লাহর নাম স্মরণ করবে এবং তোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। (মুসলিম)
পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরে এলে পরিবারপ্রধান চিন্তামুক্ত থাকেন। এ সময় বাইরে থাকলে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই মহানবী (সা.) এ সময় সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইভাবে রাতে ঘরের দরজা খোলা রাখলে যেমন চোর-ডাকাত ঢুকতে পারে, তেমনি কোনো শত্রু ঘরে ঢুকে প্রাণনাশও করতে পারে। তাই মহানবী (সা.) দরজা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। পানির পাত্র ও তৈজসপত্র ঢেকে রাখার রহস্য হলো, পাত্রে কোনো কীটপতঙ্গ পড়ে পানি বা খাবারকে দূষিত করতে পারে। আর দূষিত খাবার খেলে অনেক ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে ঘুমানোর পর বাতি জ্বালিয়ে রাখলে বিভিন্ন পোকামাকড় কক্ষে প্রবেশ করতে পারে এবং সেগুলোর সঙ্গে ইঁদুর বা সাপ ইত্যাদি প্রবেশ করে জানমালের ক্ষতি করতে পারে। তাই মহানবী (সা.) বাতি নেভানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়