নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের নালার পাশের ফসলি জমি থেকে নিষিদ্ধ শ্যালো মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ফসলি জমি থেকে বালু তোলার কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতভিটাসহ তিস্তা সেচনালা প্রকল্প।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খামাতপাড়া গ্রামের ফিরোজুর রহমান ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাশের জমির মালিক ও এলাকাবাসী।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দুটি শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয়রা জানান, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। সমতল ভূমি থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাশের ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ পাশের তিস্তা সেচনালা ও পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানান তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিক বলেন, বালু তোলা বন্ধ করতে বললে বালুদস্যুরা চড়াও হয়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মিলেছ না। যে জমি থেকে বালু তোলা হচ্ছে, সেই জমিসহ আশপাশের সব জমির বালু তোলার কারণে যেকোনো সময় বিশাল এলাকার জমি দেবে যেতে পারে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনে অভিযুক্ত ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘নিজের জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি। অন্যের জমির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, যে এলাকায় বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তার খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।