‘এগিয়ে দে’ বা ‘কিচ্ছু চাইনি আমি’র গায়িকা মধুবন্তী বাগচী এখন মুম্বাই নিবাসী। বলিউডে বাঙালি গায়ক-গায়িকাদের তালিকায় নতুন নাম তিনি। কলকাতার এই গায়িকা এর মধ্যে গাইলেন বাংলাদেশে। কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজনের নতুন ও শেষ গান ‘শোনো গো দখিন হাওয়া’ গেয়েছেন মধুবন্তী। শচীন দেববর্মনের গাওয়া মীরা দেববর্মনের লেখা জনপ্রিয় গানের সঙ্গে ফিউশন করা হয়েছে ‘উত্তরের হাওয়া’ শিরোনামের নতুন গান। যেখানে ‘দখিন হাওয়া’ অংশটি গেয়েছেন মধুবন্তী।
কোক স্টুডিওর গানটি প্রকাশ হওয়ার পর কেমন লাগছে? মধুবন্তী বলেন, ‘প্রথমত, অর্ণবের প্রতি কৃতজ্ঞ এত সাহসী কিছু চিন্তা করার জন্য। এই ক্ল্যাসিকাল গানটি নতুন করে চেষ্টা করার জন্য ধন্যবাদ সে পেতেই পারে। এটা সে ভালোভাবেই জানত গানটি প্রকাশের পর লক্ষ চিৎকার হবে। বেশিরভাগ শ্রোতাই হয়তো বলবেন, মোটেও আসলটার মতো হয়নি। সেটা কি আসলেই সম্ভব? দ্বিতীয়ত, গ্রে ঢাকা, কোকা-কোলা এবং অবশ্যই অর্ণবের পুরো টিমকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে এই গান গাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। গাউসুল আলম শাওন ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলতে হবে। ভালো লেগেছে অদিত রহমানের কাজ। তাঁকে আন্তর্জাতিক মিউজিক অঙ্গনে দেখতে চাই। এ ছাড়া অনেক গুণী মানুষ আছেন এই গানের পেছনে। তাহসান ভাই গানটির চমৎকার ফিনিশিং দিয়েছেন। এটুকু বলব, পুরোনোটার মতো না হয়ে যদি একটু নতুন কিছুর মতো হয়, তাতেই বা ক্ষতি কী?’
বাংলায় যখন পরিচিত হতে শুরু করেছিলেন, তখন মধুবন্তী চলে যান মুম্বাই শহরে। সেটা ২০১৮ সাল। মধুবন্তী বললেন, ‘প্রথম দুই বছর বলিউডের পরিবেশটা বুঝতেই চলে যায়। প্রথম দিকে বিজ্ঞাপনের কাজই করেছি। তারপর কিছু গান রেকর্ড করি। কিন্তু যতক্ষণ না সেসব গান সামনে আসছে, কারও পক্ষে বোঝা মুশকিল, আমি কী কাজ করছি। “সিদ্দত”-এর গানটা নজরে এসেছে অনেকের।’
কলকাতা ছেড়ে বলিউডে যাওয়ার দরকার মনে হলো কেন? মধুবন্তীর উত্তর, ‘কলকাতার গায়ক-গায়িকা সকলেই এই তাগিদ অনুভব করেন বলে আমার ধারণা। চেষ্টাও করেন। কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে। বলিউডের তাবড় তাবড় সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা সব প্রতিষ্ঠিত গায়ক-গায়িকার থাকে। আমারও ছিল।’