ভোলার বোরহানউদ্দিনে সুমি আক্তার নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন সুলতানা রাজিয়া ও নাজমা বেগম। তাঁদের গতকাল শনিবার ভোলা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির।
জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের মামুনের স্ত্রী সুমিকে তাঁর শাশুড়ি রাজিয়া সুলতানা, ভাবি নাজমা বেগম, মামা শ্বশুর আব্দুর রব ও দেবর জিসান পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাঁকে হত্যার চেষ্টাও চালান তাঁরা। সুমির স্বামীর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হাওলাদার ও ইউপি সদস্য পারভেজ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমিকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করান। আহত সুমি জানান, তাঁর বাবার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায়। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী উপজেলার বাচা মিয়ার রোড এলাকায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। সেখানে মামুন একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানে সুমি ও মামুনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সুমিকে বিয়ে করেন মামুন। দীর্ঘ ১ বছর সংসারও করেন তাঁরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সুমির বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান মামুন। পরে মামুনকে খুঁজতে তাঁর বাড়ি বোরহানউদ্দিনে চলে আসেন সুমি।
টবগীর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হাওলাদার পরিষদে বসে দুই পক্ষের কথা শোনেন। পরে মামুনের প্রথম স্ত্রী রয়েছে বলে জানতে পারেন সুমি। তবে মামুন নিখোঁজ বলে সালিস বৈঠক এড়িয়ে যায় মামুনের পরিবার। সুমি নিরুপায় হয়ে তাঁর স্বামী মামুনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে মামুনকে দেখতে পান সুমি। এ সময় মামুন দৌড়ে পালিয়ে যান। এর পর বৃহস্পতিবার রাতেই সুমিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
মামুনের মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘মামুনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। সুমি ও মামুন এক হয়ে আসলে আমি তাঁদের ঘরে ঢুকতে দেব।