মুলাদীতে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলার ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাওফিকার কাছে এ কৈফিয়ত চেয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক তাওফিকা খাতুনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপগ্রান্ট, ক্ষুদ্র মেরামত, উপবৃত্তির টাকা, রুটিন মেইনটেন্যান্সের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে কৈফিয়ত তলবপত্রে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ৩৪ নম্বর ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রীনা খান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাওফিকা খাতুনের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিনি (রীনা খান) বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্তের জন্য মুলাদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জাকিরুল হাসান আবেদনকারী সভাপতি ও অভিযুক্ত শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিষয়টি তদন্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রীনা খান বলেন, ‘২০২১ সালে বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনার (স্লিপ) জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ওই টাকা তুলে প্রধান শিক্ষক তাওফিকা খাতুনের হাতে দিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক কোনো কাজ না করেই ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। এই সুযোগে প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হাসান বলেন, ‘২০ সেপ্টেম্বর তদন্ত করা হয়েছে। ওই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্তের তথ্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন আকারে দেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক তাওফিকা খাতুনের কৈফিয়ত তলব করেছেন। তিনি সেখানে জবাব দেবেন।’
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাওফিকা খাতুন বলেন, ‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পত্রের আলোকে প্রমাণসহ জবাব দেওয়া হয়েছে।’