নাটোরের নলডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুসফিকুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ বিষয়ে নিজ বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করেন এবং ক্ষমা চান।
এর আগে সোমবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় মুসফিকুর রহমান মুকু বক্তব্য দেন। সভায় তিনি বলেন, ‘কিছু লোকজন, কিছু মুক্তিযোদ্ধা এ দেশের অস্ত্র জমা দেননি। জমা না দেওয়ায় প্রতি রাতে চুরি-ডাকাতি হতো।’ পরে এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরে ফেসবুকে ভুল স্বীকার করে একটি পোস্ট দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মুকু বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা না দিয়ে রাতে চুরি-ডাকাতি করেছেন। এ বক্তব্য ওই আওয়ামী লীগ নেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি (লাইভ) দিলে তা দেখে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাধারণ মানুষের সমালোচনার মুখে পড়েন।’
সংবাদ সম্মেলনে মুসফিকুর রহমান মুকু বলেন, ‘রাজাকারদের কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলে ফেলেছি। আমি বোঝাতে চেয়েছি, একাত্তরে কিছু রাজাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে চুরি-ডাকাতি করেছেন। এতে আমার ভুল হয়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলা কমান্ডের সহকমান্ডার হাকিম উদ্দিন বলেন, ‘জেলা কমান্ডার আব্দুর রউফের নির্দেশে আমরা তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছি।’