চাঁদপুরের ৮ উপজেলার মধ্যে শুধু মতলব দক্ষিণে চলছে মা ও শিশুসেবা। তবে নিয়োগের পর থেকে উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে গর্ভবতী মায়েদের ভাতার কার্যক্রম। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এই সেবা পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আমেনা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রোগ্রাম কর্মকর্তার হিসেবে যোগদান করায় পদটি শূন্য হয়। অপর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে ওই পদে দেন তাছলিমা বেগম। গত ১২ জানুয়ারি তাঁর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। তবে এর দুদিন পরেই তাছলিমা বেগমকেও বদলি করা হয়। পুনরায় শূন্য পদে গাজীপুর শ্রীপুরের নাজনিন আফরোজকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মহিলা বিষয়ক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাজনিন আফরোজ গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত। এতে উপজেলার মা ও শিশু সেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা নারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতি মাসে পৌরসভা এলাকায় ২৫ জন ও উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ জন করে গর্ভবতী মায়েরা ভাতা পান। এ ভাতার কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় গর্ভবতী মায়েরা তাদের নিয়মিত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজনিন আফরোজের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও মতলব উত্তর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার বলেন, ‘বদলির কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সাময়িক। অচিরেই এ উপজেলায় নতুন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা যোগদান করবেন, সমস্যা সমাধান হবে।’