সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের তিন ঘেরে পর পর তিন দিন বিষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত বুধবার সকালে ইউনিয়নের ব্রজবাকসা উত্তরপাড়া এলাকার ঘেরে বিষ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতে সাড়ে ১০ লাখ টাকার পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই-কাতলা মাছ মরে গেছে বলে দাবি করেছেন শফিকুল ইসলাম। কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাজাহান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিষ দেওয়া তিনটি পুকুরের মধ্যে সর্বশেষ পুকুরটি শফিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনে অবস্থিত। দেড় বিঘার এই পুকুরে ৬০ হাজার পাঙাশ ও ২০ হাজার তেলাপিয়া-রুইয়ের পোনা ছিল। কিছু মরা মাছ পানিতে ভেসে উঠেছে। এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা পুকুরে নেমে সেগুলো সংগ্রহ করছে। একই এলাকায় গত শুক্র ও মঙ্গলবার শফিকুল ইসলামের পুকুরে শত্রুরা বিষ দেয়। পরপর এমন ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন শফিকুল ইসলাম।
মরা মাছ সংগ্রহ করতে আসা আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাবিলা খাতুন বলেন, ‘পুকুরের নিচে মাছ মরে তলিয়ে আছে। দুর্গন্ধে কুড়ানো যাচ্ছে না। এত ছোট মাছ খাওয়াও যাবে না আবার বিক্রিও করা যাবে না। এত বড় ক্ষতি যেই করুক তার বিচার হওয়া উচিত। ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন বলেন, ‘এই ন্যক্কারজনক কাজ যেই করুক প্রশাসনের উচিত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া।’
হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছচাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ মাস আগেও উত্তর দিগং গ্রামে ১০০ বিঘার ঘেরে দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ দিগং গ্রামের গোলাম হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই মামলাটি চলমান রয়েছে। এখন আবার শত্রুরা পরপর তিন দিনে তিনটা ঘেরে বিষ দিয়েছে। আমার সাড়ে দশ লাখ টাকার পোনা মারা গেছে। আমি দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ চাই।’
কলারোয়া থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, ‘গত ৬ মাস আগের ঘটনার মামলাটি চলমান রয়েছে। আবারও তার তিনটি ঘেরে বিষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’