পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনরোধে দুই দফা জিও ব্যাগ ফেলেও রক্ষা হচ্ছে না। আবারও এই ইউনিয়নে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এতে সাঁড়ার বাম তীর রক্ষা বাঁধ হুমকির মধ্যে পড়েছে। ৪ দিনে এখানে প্রায় ১২ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। আবারও ভাঙন দেখে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানা গেছে, সাঁড়া ইউনিয়নে ২ দফায় ৮টি প্যাকেজে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে ডাম্পিং এলাকায় কোনো ভাঙন নেই।
পদ্মা নদীর সাঁড়াঘাটের থানাপাড়ায় সরেজমিন দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরের দিকে ভাঙন শুরু হলে ভাঙনরোধে ৭ জানুয়ারি থেকে এখানে পাউবোর পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়। প্রথম প্যাকেজে দেড় কোটি টাকায় বালুবোঝাই জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে সাঁড়ার বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়। এরপর আরও তিনটি প্যাকেজে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়।
সাঁড়াঘাটের পুরোনো থানাপাড়ার বাসিন্দা উজ্জ্বল সরদার বলেন, জিও ব্যাগ ফেলার পর কিছুদিন ভাঙন বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার থেকে আবারও নদীতীরের নতুন এলাকা ভাঙছে। তিনি বলেন, ৪ দিনে এখানে প্রায় ১২ বিঘা জমি ভেঙেছে।
নদীপাড়ের বাসিন্দা আছিয়া খাতুন বলেন, ‘নদীভাঙনের কথা শুনে ভয়ে আছি। কখন যে বাড়িঘর তুলে কোথাও চলে যেতে হবে, বুঝে পাচ্ছি না।’
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, তাঁরা নদীভাঙনের বিষয়টি শুনেছেন। শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।